রাজশাহীর আলোচিত কাঁচা আমের জিলাপিতে সবুজ রং, জরিমানা

আলোচনায় থাকা রাজশাহীর কাঁচা আমের জিলাপিতে খুবই সামান্য পরিমাণে অপরিপক্ক গুটি আম ব্যবহার করা হয়েছে। কাঁচা আমের স্বাদ আনতে মেশানো হয়েছে ফ্লেভার। আমের সবুজ রং আনতে তাতে মেশানো হয়েছে ফুড গ্রেড কালার। 

এই জিলাপি কাঁচা আমের জিলাপি বলে গত ৮ এপ্রিল থেকে বিক্রি করছিল রাজশাহীর রসগোল্লা। বিজ্ঞাপনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়। 

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর উপশহর নিউ মার্কেটের রসগোল্লার বিক্রয়কেন্দ্রে এই অভিযান চলানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ।

তিনি বলেন, প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করার অপরাধে রসগোল্লাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়েছে।  

হাসান আল মারুফ বলেন, কাঁচা আমের জিলাপি নামে রসগোল্লা যে জিলাপি বিক্রি করছিল সেটা আসলে পুরোপুরি কাঁচা আমের নয়। তারা জিলাপিতে খুবই সামান্য পরিমাণে অপরিপক্ক গুটি আম ব্যবহার করছে। জিলাপির মূল উপাদান হলো কালাইয়ের আটা ও ময়দা। ফুড গ্রেড কালার ব্যবহারের মাধ্যমে জিলাপির রং সবুজ করা হয়েছে। এছাড়া কাঁচা আমের ফ্লেভার যুক্ত করা হয়েছে।  অথচ প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তারা কাঁচা আমের জিলাপি বিক্রি করছে। আসলে সেটি হবে কাঁচা আমের স্বাদযুক্ত জিলাপি। কাঁচা আমের জিলাপি বলে প্রতারণা করা যাবে না। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপনে ভাষাগত বিভ্রান্তির বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলে জানিয়েছেন রসগোল্লার উদ্যোক্তা আরাফাত রুবেল। তিনি বলেন, কাঁচা আমের স্বাদযুক্ত জিলাপি তাদের নতুন উদ্যোগ। জিলাপি তৈরিতে কিছুটা কাঁচা আম ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ভোক্তা অধিকার আমের সাইজ এবং পরিমাণে সন্তুষ্ট নয়। এছাড়া ফুড গ্রেড কালার এবং কাঁচা আমের ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়েছে। সেটিও তারা দেখেছে, কিন্তু এতে তাদের তেমন আপত্তি নেই।

আপত্তি কেবল বিজ্ঞাপনের ভাষায়। আমরা আমাদের বিজ্ঞাপনে বলেছি-এটা কাঁচা আমের জিলাপি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার বলছে-এটি আসলে কাঁচা আমের স্বাদযুক্ত জিলাপি। তারা জরিমানা করে বিষয়টি সংশোধন করতে বলেছে। আমরা সেটি আমলে নিয়েছি।

চাঁপাইবার্তা/ডিপি।।