আব্দুল ওদুদ সহ ৪ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

আরও ৪ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চার সংসদ সদস্য হলেন, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার ছেলে আবির হাসান তানিমের নামে কানাডার বেগম পাড়ায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে বাড়ি ক্রয় করে। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে দুদক।

বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বাকাদাহ খাড়িখনন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কাজ সম্পন্ন না করে আত্মসাৎ করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি-ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে রৌমারী কুড়িগ্রামে ১০ শতাংশ জমিসহ দোতলা বাড়ি; রৌমারী কুড়িগ্রামে ৩.২৮ একর জমিতে মার্কেট ও চাতাল রয়েছে; বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগসহ তার নামে মোট ৮,৯০,০৬৩ টাকার সম্পদসহ সর্বমোট ৫,১৮,৯০,০৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে কুড়িগ্রামে ২৬টি বিদ্যালয় শিশু কল্যাণ ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন প্রদান করেন। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পাওয়ায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

চাঁপাইবার্তা/কেবি।।