নিমতলা মোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ০১৭১৫-৯৭৫০৮৫
প্রকাশিত হয়েছে: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ - ৬:২০ অপরাহ্ন
শীত ও গরমের তীব্রতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। ভৌগোলিক কারণে এটি হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত শীত বা গরম মানুষের জন্য কষ্ট ও ক্ষতির কারণ, যা আমাদের জাহান্নামের আজাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেদিকে ইঙ্গিত করেই মহানবী (সা.) বলেছেন, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিশ্বাস থেকে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরম ও শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ (বুখারি: ৩২৬০)
আরবের মরু এলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরুঝড়ের কারণে সেখানে প্রচণ্ড গরম দেখা দিত। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) জোহরের নামাজ কিছুটা দেরিতে আদায় করতেন। এ জন্য গরম বেশি পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নত। আবু জর (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবী (সা.) বললেন, ‘গরম কমতে দাও।’ কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবী (সা.) (পুনরায়) বললেন, ‘গরম কমতে দাও।’ এভাবে তিনি (সালাত আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবী (সা.) বললেন, ‘গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর সালাত আদায় করো।’ (বুখারি: ৫৩৯)
সুতরাং গরমের তীব্রতা জাহান্নামের তীব্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কাজেই তীব্র গরমে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া উচিত।
চাঁপাইবার্তা/এপি।।